১২জন শ্রেষ্ঠ সাহাবী’র জীবনী

বই খানি সর্ম্পকে কিছু কথা

সাহাবীগন ছিলেন ইসলামের শ্রেষ্ঠতম সন্তান। রাসূল সা: এর অনুগামী ও অনুসারীবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ আর কঠোর সাধনার ফলেই সারা বিশ্বের বুকে আজ আমরা আমাদের ধর্ম নিয়ে গর্ব করার মত একটা অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। তৎকালীন কাফের, ইহুদী ও খৃস্টানগন আল্লাহর একমাত্র সত্য ধর্ম আর তার অনুসারীবৃন্দকে অংকুরেই সমূলে ধ্বংশ করে দিতে সম্ভব প্রায় সকল চেস্টাই করেছিলো। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে হাজারো লক্ষ সাহাবীদের জীবন বাজি রাখা জিহাদী আত্ব ত্যাগের বিনিময়ে সারা বিশ্বের বুকে আজ ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাসূল সা: বলেছেন আমার পরে আমার অনুসারীবৃন্দের মধ্যে তোমরা সর্বোত্তম আদর্শ খুঁজে পাবে, বাস্তবে হয়েছেও ঠিক তাই। সাহাবীগনের সকলেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত নি:স্বার্র্থ ভাবে ইসলাম প্রচার আর প্রসারের দায়িত্ব অবিরাম পালন করে গেছেন। দুর দুরান্তে পরিবার পরিজন নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছেন, নতুন নতুন দেশে ইসলামের বানী পৌঁছিয়েছেন। আমাদের জন্য, অর্থাৎ শেষ জামানার শেষ প্রজন্মের রাসূলের উম্মত তথা আল্লাহর গোলামদের জন্য উত্তম আদর্শ তৈরী করে রেখে গেছেন যার অনুকরন ও অনুসরনের মাধ্যমে আমরা সকলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহর সাথে পরিচিত হতে পারি। এছাড়াও শরীয়তের প্রজ্ঞাপূর্ন হাজারো নানান বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান গভীর ইজমা, কিয়াস, ইজতিহাদের সাথে পরিচিত হয়ে ধর্মতত্তে¡র বিশেষ জ্ঞান লাভ করতে পারি আর শেষ জামানার নানান পথ ও মতের মধ্যে সহি আর গলদের তারতম্য করতে পারি, আর প্রিয় ধর্ম ইসলাম সর্ম্পকে পরিপূর্ন জ্ঞান লাভ করে এবং সে অনুযায়ী আমল করে চীর শান্তির বাসস্থান জান্নাত লাভ করতে পারি।

অসংখ্য সাহাবী’দের মধ্য থেকে মাত্র ১২ জন বিশিস্ট সাহাবীর জীবনী সংগ্রীহিত হয়েছে বিশেষ সতর্কতার সাথে। কোন ১২ জনকে বাছাই করা হবে? শেষ পর্যন্ত এমন ১২ জন সাহাবী’র জীবনী সংকলিত হয়েছে যাদের সকলের সর্ম্পকে রাসূল (সা:) উচ্ছসিত ছিলেন, তাদের প্রতিটি কাজে, প্রতিটি কথার মধ্যে আমরা রাসূল সা: কে স্পস্ট দেখতে পাবো ইনসাল্লাহ। কিভাবে তাঁরা রাসূল (সা:)’কে নিজেদের জীবন, পরিবার পরিজন, ধন-সম্পদের চেয়েও বেশী ভালোবাসতেন, কিভাবে বদরে, ওহুদের ময়দানে এরা অকাতরে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন, কিভাবে খায়বরে, খন্দকে তারা ইসলামের জন্য শাহাদাত বরন করেছেন আর ইসলামের বিজয়ের পতাকে উড়িয়েছেন,  কিভাবে রাসূলের অবর্তমানে পরবর্তীতে কোরআন ও হাদিসকে ইসলামের দুশমনদের নানামূখী ষঢ়যন্ত্র থেকে জীবন বাজি রেখে রক্ষা করেছেন, কিভাবে বিপদে আপদে আনসার, মুহাজির মিলে মিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে লড়েছেন; সে সব জানার জন্য ১২ জন সাহাবীর জীবনী পড়ে সে অনুযায়ী তাঁদের জীবনাদর্শ অনুকরন আর অনুসরন করার মাধ্যমে দুনিয়া আখেরাতের জীবনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুস্টি অর্জন ও অশেষ কামিয়াবি হাসিল করার লক্ষ্যে সকল ইমানদার মুমিনগনেরই সাহাবী’দের জীবনী নিয়মিতভাবে বারং বার পড়া উচিত।

অনেক মানুষ রয়েছেন যারা বই পড়েন, কিন্তু মন-ধ্যান লাগিয়ে পড়ার মত মনের মত বই পান না। তাদের জন্য এই বইটি একটি সংগ্রহে রাখার মত বই হতে পারে। পরিবারের নারী ও পুরুষ উভয়ের পরিপূর্ন ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা লাভের জন্য এই বইটি সকলেরই পাঠ করা উচিত। ১২ জন বিশিস্ট সাহাবী’দের এই জীবনী পাঠের মাধ্যমে যে কেহ পরিপূর্ন হেদায়েতের আলো লাভ করতে পারবেন এতে বিন্দু মাত্র কোন সন্দেহ নাই।

১২জন শ্রেষ্ঠ সাহাবী জীবনী

 
সূচীপত্র

১. হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা:)                                            ১-৯

২. হযরত আবু যার আল-গিফারী (রা:)                                                    ১০-১৮

৩. হযরত সালমান আল-ফারেসী (রা:)                                                    ১৯-২৬

৪. হযরত আবু মুসা আল-আশয়ারী (রা:)                                                ২৭-৩৫

৫. হযরত মু’য়াজ ইবন জাবাল (রা:)                                                       ৩৬-৫৮

৬. হযরত আবু দারদা (রা:)                                                                     ৫৯-৭৯

৭. হযরত যায়িদ ইবন হারিসা (রা:)                                                         ৮০-৮৫

৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা:)                                                  ৮৬-৯৩

৯. হযরত মা হালীমা আস-সাদিয়্যা (রা:)                                                ৯৪-১০০

১০. হযরত মা খাদীজা বিনত খুওয়াইলদ (রাঃ)                                      ১০১-১২২

১১. হযরত মা আয়িশা সিদ্দীকা (রা:)                                                     ১২৩-২৩৯

১২. হযরত মা ফাতিমা বিনত রাসূলিল্লাহ (সা:)                                    ২৪০-২৭৮

সংক্ষিপ্ত লেখক পরিচিতি

জনাব মো: পারভেজ আহমেদ, পিতা: মৃত খুরশীদ আহমেদ, মাতা: মিসেস সালেহা আক্তার, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার রূপসা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পূর্বপুরুষগনের আদি নিবাস লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার শায়েস্তানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তার পিতা মরহুম খুরশীদ আহমেদ তলক্ষীপুর জেলার, রায়পুর থানায়, নিজ গ্রাম শায়েস্তানগরে “জনকল্যান হাই স্কুল” প্রতিষ্ঠা করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি উক্ত স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭১’এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি চাঁদপুরে রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন ও পাকিস্তানী মিলিটারিদের হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন, পাকিস্তানি হানাদাররা তার লাশ চাঁদপুরের মেঘনায় ফেলে দেওয়ায় তার কোন কবর নেই।

জনাব পারভেজ আহমেদ বর্তমানে সিনিয়র মানব সম্পদ মহাব্যবস্থাপক হিসাবে দেশের অন্যতম স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৮৬ সনে এসসএসসি এবং ১৯৮৮ সনে এইচএসসি পাশ করেন, ১৯৯১ সনে বিকম, ১৯৯৬ সনে এমকম পাশ করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৬-৯৭ সনে সিএ কোর্স কমপ্লিট করেন এবং ২০০১ সনে এমবিএ কমপ্লিট করেন এবং ২০০২-২০০৩ সনে এলএল-বি পাশ করেন। আরো বহু বিষয়ে তিনি বিশেষ উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন, এছাড়াও অসংখ্য ট্রেনিং করেন যা তার জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রকে অনেক প্রসারিত করেছে।

Scroll to Top